যৌন চাহিদা হচ্ছে ক্ষুধার মতো — তাই উপযুক্ত বয়সে বিয়ে অপরিহার্য। ইসলামিক দৃষ্টিতে অভিভাবকের দায়িত্ব কি?
![]() |
অল্প বয়সে বিয়ে | যৌন চাহিদা হচ্ছে ক্ষুধার মতো — ইসলাম কেন উপযুক্ত বয়সে বিয়ে করতে বলে? | BongoCyber |
ক্ষুধা লাগলে যেমন খাবারের প্রয়োজন হয়, তেমনি নারী-পুরুষ একটি নির্দিষ্ট বয়সে উপনীত হলে যৌন চাহিদা সৃষ্টি হয়।
এটি কোনো পাপ নয়, বরং আল্লাহর সৃষ্টি করা একটি প্রাকৃতিক চাহিদা।
তাই উপযুক্ত বয়সে বিবাহ সম্পন্ন করাই শ্রেয় ও কল্যাণকর।
সমাজের বাস্তবতা
আজকের সমাজে পড়াশোনা, ক্যারিয়ার, ও আর্থিক অবস্থার অজুহাতে বিয়ে বিলম্বিত করা হচ্ছে।
ফলাফল? তরুণ-তরুণীরা যৌন চাহিদা দমাতে না পেরে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে,
যা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছে যেনা ও ব্যভিচারের পথে।
“আপনি যদি একটি বিড়ালকে খেতে না দেন, তবে সে সুযোগ পেলেই হাড়ির খাবার চুরি করবে।”
ঠিক তেমনি — আপনি যদি সন্তানকে সময়মতো বিয়ে না দেন, সে হারাম পথে যেতে বাধ্য হবে।
💔 দেরিতে বিয়ে — সমাজের নৈতিক অবক্ষয়
সরকারি বিধান অনুযায়ী —
👩 নারীর বিয়ের বয়স: ১৮ বছর
👨 পুরুষের বিয়ের বয়স: ২১ বছর
তবুও আমাদের সমাজে দেখা যায় —
ছেলেরা ৩০–৩৫ বছর আর মেয়েরা ২৫–২৮ বছর পর্যন্ত অবিবাহিত থেকে যায়!
ফলে নৈতিকতা হারাচ্ছে, সমাজে ছড়াচ্ছে পাপাচার ও লজ্জাহীনতা।
ইসলামিক সমাজে এত দেরিতে বিয়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।বরং ইসলাম উৎসাহ দেয় শীঘ্র বিয়েতে, যাতে চরিত্র থাকে পবিত্র।
আল্লাহর প্রতিশ্রুতি
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেন —
“তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ দাও।তারা যদি নিঃস্বও হয়, আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের ধনী বানিয়ে দেবেন।”(সূরা নূর ২৪:৩২)
অর্থাৎ, রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহর।
অভিভাবকরা যদি আল্লাহর উপর আস্থা না রেখে “চাকরি না পাওয়া”কে অজুহাত বানান —
তবে সেটা ঈমানের দুর্বলতার নিদর্শন।
প্রতিষ্ঠিত নয়, দ্বীনদার বর/কনে বেছে নিন
প্রতিষ্ঠা বা টাকা নয় — বরং দ্বীনদারিত্ব দেখুন!
কারণ আল্লাহর রহমত যেখানে আছে, সেখানে কখনও কষ্ট স্থায়ী হয় না।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন —
“যখন তোমাদের কাছে এমন ব্যক্তি আসে যার দ্বীন ও চরিত্র তোমাদের পছন্দ হয়,তাকে বিবাহ দিয়ে দাও।” (তিরমিজি)
বিয়ে বিলম্বিত করলে কী হয়?
যুবকদের মধ্যে যৌন অস্থিরতা,
মেয়েদের বয়স ও সৌন্দর্যের ক্ষয়,
আর পিতা-মাতার পরে অনুতাপ ও কষ্ট।
প্রথম দিকে যে প্রস্তাবগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হয়,
পরবর্তীতে সেগুলোর আক্ষেপে কেটে যায় জীবন!
ইসলামিক দৃষ্টিতে অভিভাবকের দায়িত্ব
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন —
“যার সন্তান বালেগ হয়, সে যেন তার বিয়ে দেয়।যদি না দেয়, আর সে কোনো পাপে লিপ্ত হয়, তবে সেই পাপ তার পিতার উপর বর্তাবে।”(বায়হাকী, মিশকাত হা/৩১৩৮)
অর্থাৎ, সন্তান বালেগ হওয়ার পরও যদি আপনি বিয়ে না দেন,
তাহলে সন্তানের গোনাহ অভিভাবকের কাঁধে বর্তাবে।
🕋
📛 অতএব —
আপনি ও আপনার সন্তানকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করতে চাইলে,
👉 সন্তান সাবালক হলেই বিয়ে দিন।
👉 সমাজে হালালকে সহজ করুন, হারামকে কঠিন করুন।
“চরিত্র রক্ষার জন্য যারা বিয়ে করবে,তারা যদি অভাবীও হয় — আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করবেন।”(সূরা নূর : ৩২)
💫
🔹 যৌন চাহিদা দমন নয়, বিবাহই সমাধান।
🔹 দেরিতে বিয়ে মানেই পাপাচারের দরজা খোলা।
🔹 আল্লাহর উপর আস্থা রাখুন — রিজিক তিনি দেবেনই।
🔹 দ্বীনদার ছেলে বা মেয়েকে বিয়ে দিন, প্রতিষ্ঠার পিছনে ছুটবেন না।
🔹 সমাজে হালালকে সহজ করুন, হারামকে কঠিন করুন।
👇 Please Subscribe Our YouTube Channel 👇
0 Comments
Please Do Not Enter Any Spam Link In The Comment Box.