![]() |
তারাবীহ, তাহাজ্জুদ এবং বিতর সালাত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর |
BongoCyber Blog Post
❑ আপনি যদি জামাআতের সাথে তারাবীহ আদায় করে শেষ রাতে আবার তাহাজ্জুদ আদায় করতে চান; এমতাবস্থায় আপনার করনীয় কি?
উত্তর: এ ক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতি হতে পারে। যেমন;
প্রথমত: আপনি ইমামের সাথে বিতরের নামাজ আদায় করবেন এবং তারপর দুই রাকাত করে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী যত রাকাত সম্ভব তাহাজ্জুদ পড়বেন। তবে বিতরের সালাত পুনরায় পড়বেন না, কারণ এক রাতে দুইবার বিতর পড়া জায়েজ নয়। মহানবী (ﷺ) বলেন, “এক রাতে দুটি বিতর নেই।” (আবু দাউদ হা/১২৯৩; তিরমিজি হা/৪৭০, সহীহুল জামে হা/৭৫৬৭)।
দ্বিতীয়ত: আপনি বিতরের নামাজ শেষ রাতের জন্য রেখে দিতে পারেন। ইমাম যখন বিতরের সালাত আদায় করে সালাম ফিরাবেন, তখন আপনি সালাম না ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত এক রাকাত যোগ করবেন, যাতে শেষ রাতে বিতর আদায় করতে পারেন। মহানবী (ﷺ) বলেছেন, “তোমরা বিতরকে তোমাদের রাতের শেষ সালাত করো।” (সহীহ বুখারী হা/৯৯৮; সহীহ মুসলিম হা/৭৫১; আবু দাউদ হা/৪২২)।
শাইখ ইবন বায (রাহিমাহুল্লাহ) এ বিষয়ে বলেন, কেউ যদি ইমামের বিতর শেষে এক রাকাত যোগ করে শেষ রাতে বিতর আদায় করতে চায়, তাতে কোনো সমস্যা নেই। তিনি ইমামের সাথে পুরো নামাজ আদায় করেছেন বলে ধরা হবে, যদিও তিনি ইমামের চেয়ে পরে সালাম ফিরিয়েছেন। (বিন বায মাজমূ‘উ ফাতাওয়া, খণ্ড/১১; পৃষ্ঠা: ৩১২)।
সৌদি ফতোয়া বোর্ডের শাইখ আবদুল্লাহ ইবনে জিবরীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ইমামের সাথে বিতর আদায় করা উত্তম, যেন তার জন্য ইমামের সাথে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত কিয়ামুল লাইলের সওয়াব লেখা হয়। তবে কেউ চাইলে ইমামের বিতরের পর এক রাকাত যোগ করে শেষ রাতে তাহাজ্জুদের সাথে বিতর পড়তে পারেন। (ফাতাওয়া রমজান, পৃষ্ঠা: ৮২৬; ইসলাম সুওয়াল জাওয়াব, ফাতাওয়া নং ৬৫৭০২)।
তৃতীয়ত: যদি কেউ এশার নামাজ আদায় না করে মসজিদে এসে ইমামের সাথে তারাবিহতে যোগ দেয়, তার জন্য করণীয় হলো এশার নিয়তে ইমামের সাথে জামাতে শামিল হওয়া। ইমাম সালাম ফিরালে একা বাকী এশার নামাজ আদায় করবে, এরপর তারাবিহের নামাজ পড়বে। ইমাম উসাইমীন এ ব্যাপারে বলেন, ইমামের নিয়ত নফল হলেও মুক্তাদীর জন্য ফরজ নামাজ পড়া জায়েজ। (আশ শারহুল মুমতে, খণ্ড ৪; পৃষ্ঠা: ৯১)।
শাইখ ইবন বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, এশার নিয়তে তারাবিহ জামাতে অংশগ্রহণ করা জায়েজ। ইমাম সালাম ফিরালে ব্যক্তি তার বাকি এশা আদায় করবে। (বিন বায মাজমূ‘উ ফাতাওয়া, খণ্ড ১২; পৃষ্ঠা: ১৮১)।
চতুর্থত: যদি কেউ ইমামের সাথে তারাবিহ শুরু করে এবং ইমাম শেষ না করা পর্যন্ত থাকে, তবে তার জন্য ইমামের সাথে থাকা উত্তম। নবী (ﷺ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ইমামের সাথে নামাজ পড়ে যতক্ষণ না ইমাম শেষ করে, আল্লাহ তার জন্য সারারাত নামাজের সওয়াব লিখেন।” (আবু দাউদ হা/১২২৭, সহীহ তিরমিজি হা/৬৪৬)।
পঞ্চমত: যদি কোনো কারণে রাতে কিয়ামুল লাইল বা বিতর আদায় করতে না পারেন, তাহলে দিনের বেলায় ফজর ও যোহরের মধ্যে কাযা হিসেবে নামাজ আদায় করবেন। বিতর সহ এ নামাজ জোড় সংখ্যায় আদায় করতে হবে। (সহীহ মুসলিম হা/৭৪৬; মিশকাত হা/১২৫৭)
👇 Please Subscribe Our YouTube Channel 👇
0 Comments
Please Do Not Enter Any Spam Link In The Comment Box.