Adds

যেসব বই পড়া নিষিদ্ধ | যেসব ইসলামিক বই পড়া হারাম — জাল হাদীস ও বিদআতের ফাঁদ থেকে সাবধান হোন!

যেসব বই পড়া নিষিদ্ধ (জাল হাদিসের Factory!)

📚 ইসলামী জ্ঞানের নামে অনেক সময় কিছু বই প্রচার করা হয়, যেগুলোর ভেতরে রয়েছে ভ্রান্ত মতবাদ, জাল হাদীস, ও বিদআতি আমল। এসব বই মুসলমানদেরকে সঠিক দ্বীন থেকে বিচ্যুত করে এবং ভ্রান্ত পথে পরিচালিত করে

নিচে এমন কিছু বইয়ের তালিকা দেওয়া হলো — যেগুলো থেকে দূরে থাকা ফরজের মতো জরুরি! ⚠️


যেসব বই পড়া নিষিদ্ধ | যেসব ইসলামিক বই পড়া হারাম — জাল হাদীস ও বিদআতের ফাঁদ থেকে সাবধান হোন!
যেসব বই পড়া নিষিদ্ধ | যেসব ইসলামিক বই পড়া হারাম — জাল হাদীস ও বিদআতের ফাঁদ থেকে সাবধান হোন! 



🛑 ❌ যেসব বই পড়া একেবারেই নিষিদ্ধ:

📚 নিচে ১৮টি বইয়ের নাম দেওয়া হলো, যেগুলোতে রয়েছে জাল হাদীস, মনগড়া আমল ও বিদআতি মতবাদ
এসব বই মুসলমানদের জন্য পড়া হারাম এবং বিভ্রান্তিকর ⚠️


📕 নিষিদ্ধ বইয়ের তালিকা:


  1. নেয়ামুল কোরআন

  2. মুকসেদুল মোমীনিন

  3. বেহেশতে জেওর

  4. ফাজায়েলে আমল (তাবলীগ জামাত)

  5. ফাজায়েলে হজ (তাবলীগ জামাত)

  6. ফাজায়েলে জিকির (তাবলীগ জামাত)

  7. তাবলীগী নেছাব (তাবলীগ জামাত)

  8. মালফয়াত

  9. ফাজায়েলে সাদাকাত (তাবলীগ জামাত)

  10. ফাজায়েলে দরুদ শরীফ (তাবলীগ জামাত)

  11. বিষাদ সিন্ধু

  12. নাফেউল খালায়েক

  13. বারো চান্দের ফজিলত

  14. পাঞ্জেগানা ওয়াজিফা

  15. কী করিলে হবে

  16. নেক আমল

  17. সুলেমানি তাবিজের বই

  18. খায়রুল হাশর


সতর্কতা:

এই বইগুলো মানুষের ঈমান ও আমলকে ভ্রান্ত পথে নিয়ে যেতে পারে

📖 তাই এসব বই থেকে দূরে থাকুন, এবং কেবল কুরআন ও সহিহ হাদীসভিত্তিক বই অধ্যয়ন করুন।



কেন এসব বই পড়া যাবে না?

এসব বইয়ে জাল হাদীস, মনগড়া আমল, ও বিদআতি প্রথা প্রচার করা হয়। ফলে একজন মানুষ ধীরে ধীরে কুরআন ও সহিহ হাদীসভিত্তিক ইসলাম থেকে দূরে সরে যায়

এ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন ৫ জন প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ⤵️


🕌 বিখ্যাত আলেমদের সতর্কতা:

  • শায়খ মতিউর রহমান মাদানী (হাফিঃ)
  • শায়খ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.)
  • শায়খ ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ মাদানী (হাফিঃ)
  • শায়খ ড. মুযাফফর বিন মুহসিন (হাফিঃ)
  • শায়খ ড. মুহাম্মদ ইমাম হুসাইন (হাফিঃ)

🕯️ যদি আপনার ঘরে এসব বই থাকে — তবে তা ধ্বংস করে দিন, যেন অন্য কেউও বিভ্রান্ত না হয়।



তওবা ও বিশুদ্ধ আমল করার নির্দেশ

যে কেউ এসব বইয়ের ভ্রান্ত আমল করে থাকেন, তাকে অবশ্যই তওবা করতে হবে এবং সহিহ ইসলামী উৎসে ফিরে আসতে হবে

🎓 শায়খ ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ মাদানী (হাফিঃ) তাঁর ভিডিওতে নির্ভরযোগ্য ও সহিহ বইয়ের তালিকাও দিয়েছেন — সেখান থেকে দিকনির্দেশনা নেওয়া শ্রেয়।



বিদআতের ভয়াবহতা সম্পর্কে কুরআন ও সহিহ হাদীস

📖 আল-কুরআনে সতর্কবার্তা:

“অথবা তাদের কি এমন শরিক আছে, যারা তাদের জন্য দ্বীনের মধ্যে এমন নতুন বিধান দিয়েছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি?”
🕋 [সূরাহ আশ-শুআরা: আয়াত ২১]



রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:

“যে ব্যক্তি এমন কোনো আমল করল, যা আমার নির্দেশের অন্তর্ভুক্ত নয় — তা প্রত্যাখ্যাত।”
📚 [সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম, হাদীস: ১৭৭৮]


 

“যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু সৃষ্টি করল, যা এতে অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত।”
📘 [সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস: ১৪০]


 

“নিশ্চয়ই শ্রেষ্ঠ বাণী আল্লাহর কিতাব এবং শ্রেষ্ঠ পথনির্দেশ মুহাম্মাদের পথনির্দেশ। আর দ্বীনে নতুন সৃষ্টি হলো নিকৃষ্টতম কাজ; প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা।”
📕 [সহিহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস: ১৪১]


 

“প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণতি হলো জাহান্নাম।”
📙 [নাসাঈ: ১৫৭৮]


🌺 

📢 ইসলাম কোনো নতুন আমল বা উদ্ভাবিত প্রথাকে স্থান দেয় না।

🔹 সঠিক ইসলাম জানতে ও পালন করতে হলে কুরআন ও সহিহ হাদীসই একমাত্র পথ।

🔹 তাই নিজে বাঁচুন, অন্যকেও বাঁচান জাল হাদীস ও বিদআতের বই থেকে।

🕋 আল্লাহ আমাদের সবাইকে সহিহ দ্বীনের উপর অটল থাকার তাওফিক দিন — আমিন 🤲



👇 Please Subscribe Our YouTube Channel 👇

Post a Comment

0 Comments