![]() |
যেসব বই পড়া নিষিদ্ধ (এগুলো জাল হাদিসের Factory)
১. নেয়ামুল কোরআন
২. মুকসেদুল মোমীনিন
৩. বেহেশতে জেওর
৪. ফাজায়েলে আমল (তাবলীগ জামাত)
৫. ফাজায়েলে হজ (তাবলীগ জামাত)
৬. ফাজায়েলে জিকির (তাবলীগ জামাত)
৭. তাবলীগী নেছাব (তাবলীগ জামাত)
৮. মালফয়াত
৯. ফাজায়েলে সাদাকাত (তাবলীগ জামাত)
১০. ফাজায়েলে দরুদ শরীফ (তাবলীগ জামাত)
১১. বিষাদ সিন্ধু
১২. নাফেউল খালায়েক
১৩. বারো চান্দের ফজিলত
১৪. পাঞ্জেগানা ওয়াজিফা
১৫. কী করিলে হবে
১৬. নেক আমল
১৭. সুলেমানি তাবিজের বই
১৮. খায়রুল হাশর
এসব বই কেন পড়া যাবে না; আলোচনা করছেন ৫ জন বিখ্যাত আলিম:
শায়খ মতিউর রহমান মাদানী (হাফিঃ)
শায়খ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.)
শায়খ ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ মাদানী(হাফিঃ)
শায়খ ড. মুযাফফর বিন মুহসিন (হাফিঃ)
শায়খ ড. মুহাম্মদ ইমাম হুসাইন (হাফিঃ)
যদি আপনার বাসায় এই বইগুলো থাকে, তবে সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে ফেলুন।
কেউ যদি এসব বইয়ে উল্লেখিত বিদআতি আমল করে থাকেন, তবে অবশ্যই তওবা করে সেই ভ্রান্ত আমল থেকে বিরত থাকতে হবে। তওবা করার পদ্ধতি এবং বিশুদ্ধ আমল করার জন্য শাইখ ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ মাদানী (হাফিজাহুল্লাহ) তার ভিডিওতে কিছু নির্ভরযোগ্য বইয়ের নাম উল্লেখ করেছেন।
বিদআতের ভয়াবহতা সম্পর্কে আল কুরআন ও সহিহ হাদিসে যা বলা হয়েছে:
◈ আল্লাহ তাআলা বলেন:
"অথবা তাদের কি এমন শরিক আছে যারা তাদের জন্য দ্বীনের মধ্যে এমন নতুন বিধান দিয়েছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি?"
[সূরাহ শুআরা: ২১]
◈ রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
"যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করল, যা আমার নির্দেশের অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত।" [সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৭৭৮]
◈ অন্য হাদিসে এসেছে:
"যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু সৃষ্টি করল, যা এতে অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত।"
[সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম, মিশকাত হাদিস: ১৪০]
◈ আরও বর্ণিত হয়েছে:
"নিশ্চয়ই শ্রেষ্ঠ বাণী হলো আল্লাহর কিতাব এবং শ্রেষ্ঠ হেদায়েত হলো মুহাম্মাদের হেদায়েত। আর দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি নিকৃষ্টতম কাজ, এবং প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা।"b[সহিহ মুসলিম, মিশকাত হাদিস: ১৪১]
নাসাঈর বর্ণনায় আরও বলা হয়েছে:
"প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণতি হলো জাহান্নাম। "[নাসাঈ: ১৫৭৮]
0 Comments
Please Do Not Enter Any Spam Link In The Comment Box.