Adds

হযরত লোকমান (আঃ)-এর ৭৬টি অমূল্য উপদেশ আপনার সন্তানের জন্য | BongoCyber

কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী, হযরত লোকমান (আঃ) তার পুত্রকে যে উপদেশগুলো দিয়েছেন, সেগুলোর মূল উদ্দেশ্য ছিল তার সন্তানকে সঠিক নৈতিকতা, ঈমান, এবং সৎচরিত্রের শিক্ষা দেওয়া। এই উপদেশগুলো মূলত একটি আদর্শ জীবনযাপন, নৈতিকতার বিকাশ এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের গুরুত্ব নিয়ে।

হযরত লোকমান (আঃ)-এর ৭৬টি অমূল্য উপদেশ আপনার সন্তানের জন্য | BongoCyber
Life of Islam - BongoCyber Blog Post

১. বেটা! কর্জ থেকে নিজেকে রক্ষা করো, কারণ এটি দিনের বেলায় অপমান এবং রাতে দুশ্চিন্তা 😔 সৃষ্টি করে।


২. বেটা! মোরগের চেয়ে বেশি অলস হইও না 🐓—সে তো শেষ রাতে জেগে চিৎকার শুরু করে, আর তুমি বিছানায় ঘুমিয়ে থাকো 😴।


৩. বেটা! গুরুত্ব সহকারে জানাযায় অংশগ্রহণ করো এবং অহেতুক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলো ⚰️।


৪. বেটা! আল্লাহর নৈকট্য অবলম্বন করো 🙏।


৫. অন্যকে উপদেশ দেওয়ার আগে নিজে তা অনুসরণ করার চেষ্টা করো 💡।


৬. নিজের সম্মান বজায় রেখে কথা বলবে 🗣️।


৭. ভালো মানুষ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার চেষ্টা করো 😊।


৮. নিজের অধিকারের প্রতি সচেতন থাকবে ⚖️।


৯. গোপন তথ্য কারো কাছে প্রকাশ করবে না 🤫।


১০. বিপদের সময় বন্ধুকে যাচাই করবে 🤝।


১১. বন্ধুদের ভালো-মন্দ উভয় দিকই পরীক্ষা করো 🔍।


১২. বিচক্ষণ ও জ্ঞানীদের সাথে বন্ধুত্ব করো 📚।


১৩. ভালো কাজে বারবার অংশগ্রহণ করো ✅।


১৪. নিজের কথা প্রমাণ করে দেখাবে 🗨️।


১৫. বন্ধুদের যথাসাধ্য ভালোবাসো ❤️।


১৬. শত্রু-মিত্র সবার সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করো 😊👋।


১৭. মাতা-পিতাকে সর্বোচ্চ সম্মান দেবে 👵👴।


১৮. শিষ্যদের মর্যাদা দৃষ্টিতে দেখো 👨‍🏫।


১৯. আয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে ব্যয় করবে 💰💡।


২০. প্রতিটি কাজে মধ্যপন্থা অবলম্বন করবে ⚖️।


২১. কথা বলার সময় মুখের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখবে 🗣️🤐।


২২. বীরত্বকে নীতি হিসেবে গ্রহণ করবে 🛡️।


২৩. শরীর ও পোশাক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবে 🧼👗।


২৪. ঐক্যবদ্ধ থাকবে 🤝।


২৫. অস্ত্র এবং যানবাহন চালানো শিখে নাও 🏹🚗।


২৬. রাতে প্রয়োজন হলে নরম স্বরে কথা বলবে 🕯️।


২৭. দিনে কথা বলার সময় চারপাশে নজর রাখবে 👀।


২৮. কম কথা বলা, কম খাওয়া এবং কম ঘুমানোর অভ্যাস করবে 😌🍽️💤।


২৯. নিজের জন্য যা পছন্দ নয়, তা অন্যের জন্যও পছন্দ করবে না ⚠️।


৩০. বিচক্ষণতা ও কৌশল অবলম্বন করে কাজ করবে 🧠🛠️।


৩১. যথাযথ শিক্ষা না নিয়ে অন্যকে শিখাতে যেও না 📖❌।


৩২. অন্যের সম্পদের প্রতি নজর দিও না 💰🚫।


৩৩. নীতিহীনদের কাছ থেকে কৃতজ্ঞতা আশা করো না 🤷‍♂️।


৩৪. কোনো কাজেই চিন্তামুক্ত হইও না 🤔।


৩৫. যা করনি, তা করার দাবি করো না 🙅‍♂️।


৩৬. আজকের কাজ কালকের জন্য ফেলে রেখো না 📅❌।


৩৭. বড়দের সাথে ঠাট্টা-মশকরা করো না 🙅‍♂️।


৩৮. আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করো না ☝️❌।


৩৯. যারা তোমার উপর আশা রাখে, তাদের নিরাশ করো না 💔।


৪০. বড়দের সামনে কথা দীর্ঘায়িত করো না 🗣️⏳।


৪১. অতীতের তিক্ততা মনে রেখো না 🕊️❌।


৪২. নিজের ধন-সম্পদের কথা অন্যের কাছে প্রকাশ করো না 💰🤐।


৪৩. সৎ লোকদের নিন্দা করো না 🙅‍♂️💬।


৪৪. আপনজনদের কাছ থেকে কখনও বিচ্ছিন্ন হইও না 👫💞।


৪৫. অহংকার করো না 🦚❌।


৪৬. মানুষের সামনে দাঁত বের করে খেলাল করো না 😁🚫।


৪৭. মানুষের সামনে মুখে বা নাকে আঙুল দিও না 👃🤚❌।


৪৮. শব্দ করে থুতু ফেলো না 🗣️💦❌।


৪৯. হাই তোলার সময় মুখে হাত রাখবে 🥱✋।


৫০. কাউকে জনসম্মুখে লজ্জা দিও না 😳🚫।


৫১. চোখ দিয়ে ইঙ্গিত করো না 👀❌।


৫২. এক কথা বারবার বলবে না 🔄🗣️।


৫৩. তামাশা বা অবাস্তব কথা বলবে না 🤥🎭।


৫৪. ঠাট্টা বা বিদ্রুপ থেকে বিরত থাকবে 🙅‍♂️🃏।


৫৫. অন্যের সামনে নিজের প্রশংসা করো না 🏆❌।


৫৬. মেয়েদের মতো সাজগোজ করবে না 💄🚫।


৫৭. কথা বলার সময় হাত নাড়াচাড়া করো না 🤚❌।


৫৮. আপনজনদের শত্রুর সাথে মেলামেশা করো না ⚔️🚫।


৫৯. কারও মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করো না ⚰️🗣️❌।


৬০. যথাসম্ভব ঝগড়া-বিবাদ থেকে বিরত থাকবে 🤐⚖️।


৬১. সৎ ব্যক্তির প্রতি সদাচারণ ও ভালো ধারণা রাখবে 🕊️🌟।


৬২. নিজের খাবার অন্যের দস্তরখানায় নিয়ে যেও না 🍽️❌।


৬৩. কোনো কাজে তাড়াহুড়ো করবে না 🕐❌।


৬৪. দুনিয়ার স্বার্থের মোহে নিজেকে কষ্টে ফেলো না 💼💔।


৬৫. রাগান্বিত অবস্থায়ও ধীর ও শান্তভাবে কথা বলবে 😠🗣️😌।


৬৬. জামার আস্তিন দিয়ে নাক পরিস্কার করো না 👕👃❌।


৬৭. সূর্য উদয়ের আগেই শয্যা ত্যাগ করবে 🌅🛌⬆️।


৬৮. পথ চলার সময় বড়দের আগে হাঁটবে না 🚶‍♂️👵❌।


৬৯. এদিক-সেদিক উঁকি মেরে দেখবে না 👀🚪❌।


৭০. অন্যের কথার মধ্যে বাধা দিয়ে কথা বলবে না 🔇🗣️❌।


৭১. মেহমানের সামনে রাগান্বিত হইও না 😡👥🚫।


৭২. সন্দেহপ্রবণতা ত্যাগ না করলে, তুমি কখনও প্রকৃত বন্ধু খুঁজে পাবে না 🤔🤝❌।


৭৩. বেটা! এত মিষ্ট হইও না যে, মানুষ তোমাকে গিলে ফেলে 🍬🫦, আর এত তিক্ত হইও না যে, তারা তোমাকে থুতুর মতো ফেলে দেয় 🤢❌।


৭৪. বেটা! নিজের খাবার শুধুমাত্র আল্লাহভীরু লোকদের খাওয়াবে 🍽️🕋, আর নিজের কাজে আলেমদের থেকে পরামর্শ নেবে 📚💡।


৭৫. বেটা! মূর্খের সাথে বন্ধুত্ব করো না, তা না হলে তার মূর্খতা তোমার ভালো লাগতে শুরু করবে 🤷‍♂️🤦‍♂️, আর জ্ঞানীর সাথে শত্রুতা করো না, যাতে সে তোমার থেকে মুখ ফিরিয়ে না নেয় 📖🚫।


৭৬. বেটা! তুমি যেদিন থেকে দুনিয়াতে এসেছ, প্রতিদিন তুমি আখিরাতের দিকে আরও নিকটবর্তী হচ্ছ 🕰️➡️🌙।


কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী, হযরত লোকমান (আঃ) তার পুত্রকে যে উপদেশগুলো দিয়েছেন, সেগুলোর মূল উদ্দেশ্য ছিল:


1. তাওহীদের শিক্ষা: হযরত লোকমান (আঃ) প্রথমেই তার পুত্রকে আল্লাহর একত্ববাদ শেখান এবং শিরক (আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার করা) থেকে বাঁচতে উপদেশ দেন। এর উদ্দেশ্য ছিল, তার পুত্র যেন আল্লাহকে একমাত্র উপাস্য হিসেবে বিশ্বাস করে এবং তাঁর উপর পূর্ণ আস্থা রাখে।

কুরআন: "এবং স্মরণ কর যখন লোকমান তার সন্তানকে উপদেশ দিচ্ছিলেন এবং বলেছিলেন: 'বেটা! আল্লাহর সাথে শরীক করো না, নিশ্চয়ই শিরক মহাপাপ।'" (সূরা লোকমান, ৩১:১৩)


2. ইবাদত এবং আত্মশুদ্ধি: লোকমান (আঃ) তার পুত্রকে সালাত আদায়ের এবং আল্লাহর ইবাদতের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি এবং আল্লাহর কাছে নিজেকে নিবেদন করার শিক্ষা।

কুরআন: "হে আমার পুত্র! সালাত কায়েম কর..." (সূরা লোকমান, ৩১:১৭)


3. সবর ও ধৈর্য: জীবনের কঠিন পরিস্থিতিতেও ধৈর্য ধরার নির্দেশ দেন, যা জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।

কুরআন: "তুমি যেটা ন্যায় কাজের আদেশ দিবে এবং অন্যায় থেকে বারণ করবে, তা অবশ্যই ধৈর্যসহকারে করবে।" (সূরা লোকমান, ৩১:১৭)


4. বাবা-মায়ের প্রতি সদাচরণ: হযরত লোকমান (আঃ) বাবা-মায়ের প্রতি সদ্ব্যবহার এবং তাদের আদেশ পালন করার জন্য উপদেশ দেন। এতে পারিবারিক সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে।

কুরআন: "আমি মানুষকে তার বাবা-মায়ের প্রতি সদাচরণ করতে নির্দেশ দিয়েছি..." (সূরা লোকমান, ৩১:১৪)


5. অহংকার পরিহার: লোকমান (আঃ) অহংকার ও গর্ব থেকে বিরত থাকার এবং বিনয়ের শিক্ষা দেন। এর মাধ্যমে সামাজিক শান্তি ও সহনশীলতার প্রসার।

কুরআন: "মানুষের প্রতি অহংকারের সাথে মুখ ফিরিয়ে নেবে না এবং পৃথিবীতে অহংকার করে হাঁটবে না।" (সূরা লোকমান, ৩১:১৮)


6. আচার-ব্যবহার ও নম্রতা: নম্রতা ও সদাচরণ মানুষের সামাজিক অবস্থানকে উন্নত করে। হযরত লোকমান (আঃ) সন্তানকে নম্রভাবে চলার উপদেশ দেন।

কুরআন: "তুমি তোমার গতি মধ্যম রাখ এবং তোমার কণ্ঠ নিচু রাখ..." (সূরা লোকমান, ৩১:১৯)


সারকথা: হযরত লোকমান (আঃ)-এর উপদেশগুলোর মূল উদ্দেশ্য ছিল তার সন্তানকে দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হওয়ার জন্য সঠিক পথের দিকনির্দেশনা দেওয়া। এগুলোর মাধ্যমে একটি নৈতিক, আত্মিক ও আল্লাহমুখী জীবনযাপনের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, যা কেবল একজন ব্যক্তিকে নয়, সমগ্র সমাজকেও উন্নতির পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে।

✅ ইসলামিক পোস্টটি ভালো লাগলে লাইক দিন এবং শেয়ার করুন আপনার প্রিয়জনদের সাথে!

👇 Please Subscribe Our YouTube Channel 👇

Post a Comment

0 Comments