Adds

ফেসবুকে মেয়েদের ছবি আপলোড ও ইসলামের বিধান | স্ত্রীর সাথে অন্য পুরুষকে দেখলে কী করবেন?

আফসোস! 😞

আপনিও পুরুষ আর সা'দ ইবনু উবাদাহ (রাঃ) ও পুরুষ। 


সা’দ ইব্‌নু ‘উবাদাহ (রাঃ) বললেন, "আমি আমার স্ত্রীর সাথে অন্য কোন পুরুষকে যদি দেখি, তাকে সরাসরি তরবারি দিয়ে হত্যা করব।"⚔️


ফেসবুকে মেয়েদের ছবি আপলোড ও ইসলামের বিধান | স্ত্রীর সাথে অন্য পুরুষকে দেখলে কী করবেন?
আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে অন্য পুরুষকে দেখেন তাহলে কি করবেন? | ফেসবুকে স্ত্রীর আপলোডকৃত বেপর্দা ছবি | Life of Islam 


 এ কথা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে পৌঁছলে তিনি বললেনঃ "তোমরা কি সাদের আত্মমর্যাদাবোধ দেখে বিস্মিত হচ্ছ? আল্লাহ্‌র শপথ! আমি তার চেয়েও অধিক আত্মমর্যাদাসম্পন্ন। আর আল্লাহ্ আমার চেয়েও অধিক আত্মমর্যাদাসম্পন্ন।"


আল্লাহ্ আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন হবার কারণে প্রকাশ্য ও গোপনীয় যাবতীয় অশ্লীলতাকে হারাম করে দিয়েছেন। 😔 অক্ষমতা প্রকাশকে আল্লাহ্‌র চেয়ে অধিক পছন্দ করেন এমন কেউ নেই। এজন্য তিনি ভীতি প্রদর্শনকারী ও সুসংবাদদাতাদেরকে পাঠিয়েছেন। আত্মপ্রশংসা আল্লাহ্‌র চেয়ে অধিক কারো কাছে প্রিয় নয়, তাই তিনি জান্নাতের ওয়াদা দিয়েছেন।🌸

(সহীহ বুখারী-হাদিস নং ৭৪১৬)


আর আপনি ফেসবুকে স্ত্রীর আপলোডকৃত বেপর্দা ছবিতে শত শত - "হট লাগছে 🔥", "পুরাই আগুন", "ক্র্যাশ খেলাম 💘", "কেন যে বিয়ের আগে ভাবীর সাথে দেখা হল না!" ইত্যাদি কমেন্টে লাভ রিয়েক্ট দিয়ে ভাসিয়ে দিচ্ছেন!❤️


অফিসের বস-কলিগরা যখন আপনার সামনেই স্ত্রীর 'ফিগার' নিয়ে কথা বলেছে, আপনি মুখ টিপে হাসছেন; অভিনব শব্দচয়নে তার 'রূপের আগুনের' ভূয়সী প্রশংসা করেছে, আর তখন আপনার গর্ববোধ হচ্ছে!


হ্যাঁ, আপনিও পুরুষ! আর সা'দ ইবনু উবাদাহও পুরুষ। পার্থক্যটা শু ধু মানসিকতায়। 🧠


আরেকটা trend 🔥
দেখা যায়, হিজাবি বোনেরা ফেসবুকে জাহেল কায়দার ছবি না দিলেও, বেশ ফিতনাময় কায়দায় 😕 নিজেদের চোখের ছবি দিয়ে “চোখে রাখ চোখ 👁️” টাইপ ক্যাপশন দিয়ে অনায়াসেই ফেসবুকে আপলোড করছে। এটা আরও ভয়ংকর – এটা ফিতনার দিকে এক নোংরা আহবান।

কুরআনে নারী-পুরুষের জন্য পর্দার আয়াতগুলো লক্ষ্য করলে দেখব, আল্লাহ প্রথমেই মুমিন-মুমিনাদের বলেছেন দৃষ্টি অবনত করতে। কেননা সমস্ত জিনার শুরু হয় দৃষ্টি থেকে। যে নিজের চোখের হেফাজত করতে পারে, তার জন্য অশ্লীলতা, জিনা এড়ানো সহজ হয়ে যায়। 🌸

কিন্তু, আমাদের বোনেরা যদি সেই চোখকেই পুরুষের লুলুপ দৃষ্টির জন্য উন্মুক্ত করে দেয়, তাহলে ফিতনার চূড়ান্ত ভয়াবহতা দেখা দিতে পারে। 🚫💔

> “মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে……”
[সূরা নুরঃ ৩০]

> “ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে…..”
[সূরা নুরঃ ৩১]

প্রশ্ন: ফেসবুকে মেয়েদের ছবি আপলোডের বিষয়ে ইসলামের বিধান কী? 📸


বিশেষ করে, যখন কিছু হিজাবি বোন মনে করেন যে ফেসবুকে নিজেদের হিজাব পরিহিত ছবি আপলোড করা ইসলামে অনুমোদিত? 🤔

এর উত্তর হলো, বেশ কিছু কারণে মেয়েদের ফেসবুকে, চ্যাট রুমে, বা অন্য কোন ওয়েবসাইটে নিজেদের ছবি দেওয়া হারাম ❌:

1. প্রথমত, ইন্টারনেটে ছবি আপলোড করা কুরআন এবং সুন্নাহর আলোকে আল্লাহ আয ওয়া জাল মহিলাদের পর্দা ও গোপনীয়তা রক্ষার যে নির্দেশ দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে যায়। কারণ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা নবী পত্নীদের পর্দা সম্পর্কে সূরা আহযাবে আলোকপাত করেছেন:


> “তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ।”
[সূরা আহযাবঃ ৫৩]


2. এছাড়া আল্লাহ নবীকে নির্দেশ দিয়েছেন:

> “হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে, কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে, ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না।”
[সূরা আহযাবঃ ৫৯]

এতে বোঝা যায় যে নারীদের পর্দা করা এবং নম্রতা বজায় রাখা নির্দেশিত, যা তাদের সম্মান এবং সুরক্ষার জন্য।

👇 Please Subscribe Our YouTube Channel 👇

Post a Comment

0 Comments