Adds

ফারজানা ব্রাউনিয়া মোটিভেশনাল স্পিকার এর কুকর্ম ফাঁস - BongoCyber Blog

ফারজানা ব্রাউনিয়া মোটিভেশনাল স্পিকার এর কুকর্ম ফাঁস

ফারজানা ব্রাউনিয়া তিনি নিজে সু-সম্পর্ক নিয়া জ্ঞান দিলেও নিজেই একজন পরকিয়া আসক্ত, একাধিক সম্পর্ক করে বিয়ে বসেন চার ধনী ব্যক্তির সাথে। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ থাকা কালেও অন্য জায়গায় সম্পর্ক করেন। এক জায়গায় তিনি বলেছেন, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তিনি দুধ খেতে পারেননি। ৪ বিয়ে করে কোন ঘরে দুধ খাবে এই নারী আপনারাই বলেন? সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল এই নারী। তার অসাধারণ বক্তব্য মন কেড়ে নিয়েছে দেশের তরুণ-তরুণীদের। প্রেম সম্পর্কেও বিস্তারিত বলেছেন সুন্দর করে।

[ তার এক স্বামীর সাথে ফোন আলাপ কমেন্টে দেয়া হল।]

ফারজানা ব্রাউনিয়া ইতিপূর্বে আরো ৪টি বিয়ে করেন। প্রথম স্বামীর ঘরে একটি সন্তান আছে। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন লন্ডন প্রবাসী সিলেটের ধনী ব্যক্তি মিনহাজ কিবরিয়াকে। মিনহাজের সঙ্গেও ব্রাউনিয়ার তিন বছরের সংসার স্থায়ী হয়। দ্বিতীয় স্বামীর ঘরের একটি ছেলে সন্তান ও একটি মেয়ে আছে। 

তিনি তৃতীয় বিয়ে করেন অভিনেতা ও অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহিদুল আলম সাচ্চুকে। সাচ্চু ও ব্রাউনিয়ার সংসার টিকেছিল মাত্র দুই বছর।

টেলিভিশনে উপস্থাপনার আড়ালে একে একে চারটি বিয়ে করে বসেন এই নারী। বিটিভিতে রাত ১০ টায় স্লেভ লেস ব্লাউজ পড়ে সংবাদ পাঠের মধ্য দিয়ে এই ফারজানা তার ক্যারিয়ারে পা ফেলেন। সেখান থেকে চ্যানেল আইয়ের কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপক সাইখ সিরাজের সাথে তার সম্পর্কের কথা জানা যায়। মূলত চ্যানেল আইয়ের সেরা কন্ঠ অনুষ্ঠানে তিনি পপুলারিটি লাভ করেন এই সাইখ সিরাজের কাজের প্রেক্ষিতে। কথাগুলো অবাস্তব লাগে মাঝে মাঝে। মুখে ধর্মের কথা বললেও কাজ-কর্মে ধর্মীয় রীতি মানার কোন বালাই নেই। এক পুরুষে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ধর্মীয় রীতি-নীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বহুবিবাহ খেলায় মেতে ওঠেন এই ফারজানা। উচ্ছৃঙ্খলতা, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানো ও যৌনবিকৃত মানসিকতা ও লোভের কারণে বাপ-চাচা বয়সী মানুষদের সাথেও বিয়ে করতে দ্বিধাবোধ করেননি ফারজানা ব্রাউনিয়া।

২০০০ সালে মিডিয়ার সাথে যুক্ত হয়ে দ্রুত যশ-খ্যাতি লাভের আশায় খোলামেলা পোশাকে উপস্থাপনার নামে শরীর প্রদর্শন করা শুরু করেন ফারজানা ব্রাউনিয়া। বিশ্বাস না হলে ইউটিউবে যান। টার্গেট করতেন বিত্তশালীদের। তবে রুচির ক্ষেত্রে সকল ধাপ পেরিয়ে গেছেন তিনি। 

সর্বশেষ ২০১৮ সালে চতুর্থ বিয়ে করেন বিতর্কিত ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারী হাসান সারওয়ার্দীর সাথে। অবশ্য অভিযোগ রয়েছে, বিয়ের আগেই সারওয়ার্দীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ফারজানা। যার ফলে সারওয়ার্দীর প্রথম স্ত্রীর সাথে ঝামেলা সৃষ্টি হয় এবং একপর্যায়ে তাকে ডিভোর্স দিয়ে ফারজানাকে বিয়ে করেন তিনি। 

পজিশন ও কথিত সম্মানের আশায় সর্বশেষ বিতর্কিত ও অবাঞ্ছিত অবসর প্রাপ্ত লে. জে. চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর মতো ওপেন নারী লিপ্সু, বয়সের প্রায় দ্বিগুণ বড় মানুষকেও বিয়ে করতে ফারজানার রুচিতে বাঁধেনি। ফারজানা জানতেন এই লোক নারীলোভী ও ধনী সেই সুযোগটাই তিনি কাজে লাগিয়েছেন। পরবর্তীতে একাধিক নারীর সঙ্গে চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর সেক্স কথপোকথন ফাঁস হওয়ার পর বেশিরভাগ মানুষ তাকে নিয়ে ট্রল করেন। এ সম্পর্কে দু’টি টকশোতেই নিজের বয়স্ক স্বামী সারওয়ার্দীর প্রশংসায় মুখে ফেনা তুলেন ফারজানা। তিনি বলেন, ‘তিনি (চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী) একেবারেই নিষ্পাপ। আমারও অনেক ছেলে বন্ধু আছে। আমি ৬৪ জেলা ঘুরেছি। এই ৬৪ জেলাতেই কোন না কোন পুরুষ আমার সঙ্গে ছিল। আমি তার স্ত্রী। তিনি মোটামুটি ফেরেশতা লেভেলের একজন মানুষ।’
সারওয়ার্দীর সাথে বিয়ে করেও অনেক পুরুষের সাথে ওঠাবসার নেশা ত্যাগ করতে পারেননি ব্রাউনিয়া। পরে অজ্ঞাত কারনে চ্যানেল আইতে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয় এই ফারজানাকে।
 
এরপর দুজন হজ্জ্ব করে আসেন।

ফারজানা ব্রাউনিয়া নিজেকে গর্বিত মুসলিম পরিবারের সন্তান দাবি করলেও কোন যুক্তিতে একজন বিবাহিত মানুষের সাথে পরকীয়া করে সংসার ভেঙ্গে তাকে বিয়া করলেন, সেটি বিতর্কের দাবি রাখে। ধর্মের দোহাই দিয়ে অপকর্ম করে বেড়ানো ফারজানা ব্রাউনিয়ার মতো মেয়েদের কারণে আজকের সমাজে অধঃপতন ঘটছে। তার মতো লোভী, যৌনকাতর ও পরকীয়ায় আসক্ত মেয়ের কারণে মানুষের সংসার ভাঙছে।

এই দেশে যারাই ভালো একটা আসনে বক্তৃতা দেয় সেগুলাই হল ফ্রন্ট লেভেলের ধাপ্পাবাজ। এই মহিলার মুখে সুন্দর সম্পর্কের গল্প বেমানান। তবুও এই দেশে রিজেন্ট হাসপাতালের শাহেদের মতন চোর বাটপার গুলা টিভিতে মোটিভেশান দিয়ে বেড়ায় আর জনগণ হা করে গিলে।

Post a Comment

0 Comments