Adds

ভারত গরু না দিলে আমরাও নিতে চাই না

স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেছেন আমাদের খামারিরা এখন যথেষ্ট সমৃদ্ধ হয়েছে। ভারত গরু না দিলে আমরাও নিতে চাই না। বাস্তবতা হচ্ছে কুরবানীর ঈদে ভারতীয় গরু না আসলে আমাদের যে লস হবে বিষয়টা তেমন নয়। 

 

১০/২০ বছর আগে বাংলাদেশ কুরবানির সময় ভারতীয় গরুর উপর নির্ভর করে থাকতো। বাংলাদেশের কিছু ব্যবসায়ী ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সাথে আঁতাত করে সীমান্ত ও নদীপথ দিয়ে গরু নিয়ে আসতো। এতে করে ভারতীয়রা ভাবতে থাকে ভারতীয় গরু বাংলাদেশ না আসলে বাংলাদেশের বিশাল লস হবে। গত বছর ভারতের স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে বলছেন ভারত আর বাংলাদেশকে গরু দিবেনা তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। 

 

বাস্তবতা হচ্ছে ভারতীয়রা বোকার স্বর্গে বাস করে। বাংলাদেশে বর্তমানে মফস্বল থেকে শুরু করে শহরেও বিভিন্ন খামার গড়ে উঠেছে ব্যক্তি উদ্যোগে। বিশেষ করে লক্ষ করা যায় দেশের বহু শিক্ষিত তরুণ উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার পর বিগত কয়েকবছর ধরে গরুর খামার গড়ে তুলেছে। বিগত কয়েকবছরে যে পরিমাণ গরুর খামার দেশে গড়ে উঠেছে এবং এতে যে পরিমাণ গরু লালন পালন হচ্ছে তাতে কুরবানির জন্য বাংলাদেশে গরু তো সঙ্কট হবে না উল্টো উদ্বৃত্ত থাকবে। বছর বছর ভারতীয় গরু না আসলে আমাদের দেশীয় গরুর খামারী রা উপকৃত হবে তারা নায্য দাম পাবে। এবং আস্তে আস্তে এই খাতে প্রচুর বিনিয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

 

শুধু মাত্র প্রতিবছর এইভাবে হুট করে ঈদের আগে কুরবানির জন্য ভারতীয় গরু আসার কারনে বাংলাদেশের খামারী ও ব্যক্তি উদ্যোগে ছোট খাটো খামারের মালিকরা তাদের পরিশ্রমের নায্য দাম পায়না। আর বেশীরভাগ সময় গরু চোরাচালানের জন্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের দোষারপ করা হয়।

 

বাস্তবতা হচ্ছে শুধুমাত্র বাংলাদেশী ব্যবসায়ী একা জড়িত নয়। ভারতীয় ব্যবসায়ী ও কিছুক্ষেত্রে বিএসএফ এর প্রত্যক্ষ মদদে ভারত থেকে গরু বাংলাদেশে আসে। আর অসংখ্য ভারতীয়রা কুরবানির ঈদের আগে বাংলাদেশে পাঠিয়ে অধিক লাভের আশায় গরু লালন পালন করে থাকে।


ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশে গরু পাঠাবেনা বলে হুশিয়ারি দেওয়ার আসলে কিছু নেই। কিছু অসৎ ব্যবসায়ী যারা সীমান্তে গরু চোরাচালান করে তারা ছাড়া দেশের বেশীর ভাগ মানুষ চায়না কুরবানীর আগে ভারত থেকে গরু আসুক। আর বিগত কয়েকবছর ধরে একটা বিষয় লক্ষনীয় যে কুরবানির জন্য বাংলাদেশের মানুষের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে দেশীয় গরু। বেশীরভাগ মানুষই ভারতীয় গরু কিনতে চায়না।

Post a Comment

0 Comments