Adds

হযরত আবু বকর (রাঃ) এর শাসন ব্যবস্থা

হযরত আবু বকর (রাঃ) জনগণ ও সেনাবাহিনীকে দশটি অমূল্য উপদেশ দিয়েছিলেন : 👇



①কাউকে প্রতারিত করো না,

②চুরি করো না,

③ব্যভিচার করো না,

④বিশ্বাসঘাতকতা করো না,

⑤কারো অঙ্গচ্ছেদ করো না,

⑥স্ত্রী লোক ও বৃদ্ধকে হত্যা করো না,

⑦খেজুর গাছ নষ্ট করো না,

⑧ফলবান বৃক্ষ নষ্ট করো না,

⑨শস্য বা শস্যক্ষেত নষ্ট করো না এবং 

⑩প্রয়োজন ব্যতীত গবাদিপশু হত্যা করো না।


🔖সত্যবাদিতা হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর প্রধান পরিচয়। এর জন্য তাঁকে সিদ্দিক বা সত্যবাদী বলে ডাকা হতো। তাঁর খেলাফতের জামানায় একজন বুড়ি, যাকে দেখাশোনা করার কেউ ছিল না। খলিফা স্বয়ং রাতের অন্ধকারে সেই বুড়ির ঘর-দুয়ার, বিছানাপত্র পরিষ্কার করে নিজ হাতে বুড়িকে খাওয়াতেন। এ তাঁর দৈনন্দিন অন্যান্য কাজের মতোই এটাও একটা কাজ ছিল।


🌺নবীজির সাথী ইসলামের খলিফা, আল্লাহ কর্তৃক ঘোষিত ব্যক্তিত্ব, আখেরাতের (পরকালের) নির্ভয়প্রাপ্ত হযরত আবু বকর (রাঃ) একদিন এক তৃণখন্ড হাতে নিয়ে বলছেন, ‘হায়! আমি যদি তৃণখন্ড হতাম যা পশু খেয়ে ফেলতো।' কখনও বলতেন, ‘আমি যদি কোনো মুমিনের শরীরের পশম হতাম যা কেটে ফেলা হতো।' একদিন একটি ছাগলকে গাছের নিচে শুয়ে থাকতে দেখে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললেন, ‘হায়! আমি যদি এই ছাগলের মতো হতাম, চলতাম ফিরতাম, গাছের ছায়ায় আরাম করতাম, তাহলে পরকালে কোনো বিচারের মুখোমুখি হতাম না।'


🍃হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর চরিত্রের কথা বলতে গিয়ে অধ্যাপক মুইর বলেন, ‘মুহাম্মদ (সাঃ) যদি একজন জ্ঞান প্রতারক হতেন, তাহলে তিনি কখনোই এমন একজন মহানুভব বিশ্বাসী বন্ধু লাভ করতে পারতেন না, যিনি শুধু বিচক্ষণ, দূরদর্শী ও জ্ঞানীই ছিলেন না। সমগ্র জীবনে নিষ্ঠাবান ও সৎ ছিলেন। মাওলানা মুহাম্মদ আলী হযরত আবু বকর (রাঃ) সম্পর্কে বলেছেন, ‘তার নম্রতা একনিষ্ঠতা, অনাড়ম্বর জীবন অতিসূক্ষ্ম নীতিজ্ঞান, গরীব, দরদী মন, কঠিন সংকল্প, ক্লান্তিহীন অধ্যবসায়, সর্বোপরি এক আল্লাহতে অটল ও অফুরন্ত বিশ্বাস প্রভৃতি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ইতিহাসে মহানবীর (সাঃ) পরই হযরত আবু বকর (রাঃ)

Post a Comment

0 Comments