Adds

মানুষ নয়, গাছের দখলে থাকা ভুতুড়ে শহর - এটি সোভিয়েত আমলের ভূতুড়ে শহরের গল্প - Story Series

শহরটির নাম আকারমারা। এখানকার লোকজন একসময় কাজ করতো খনিতে। কিন্তু এটি এখনএক ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে।


এটি সোভিয়েত আমলের ভূতুড়ে শহর
এটি সোভিয়েত আমলের ভূতুড়ে শহর BongoCyber Blog


বড় করে হা করেন তো?
- আয়ায়ায়া
আরে এত বড় না! আমাকে খেয়ে ফেলবেন দেখছি। অনেকটা মজা করেই বললেন ডক্টর সাজেদ। তা কতদিন ধরে বেধা করছে?
-এইতো মাস তিনেক তো হবেই!
- শুধু কি পিঠে?
- মাঝে মাঝে পায়েও করে হাতেও!
- প্রত্যেক দিন করে?
- হুম৷ কিন্তু ছুটির দিনে করেনা!

একটু কপালে ভাজ পরলো ডক্টর সাজেদের৷ একটু ভ্রু কুচকিয়ে বললেন হুম। আচ্ছা ওসুধ লিখে দিচ্ছে খেয়ে নিয়েন।
আমি মাথা নারলাম। তবে মনে একটা প্রশ্নই ছিল। শুক্র শনি কেন বেথা করেনা? ডাক্তার তেমন কিছু বললেন না, ওসুধ খেতে বললেন। ঠিক হয়ে যাবে। 

ডাক্তারের চেম্বার থেক বের হলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা। ওসুষ গুলো কিনে বাড়ি ফিরলাম। ছোট একটা বাসা প্রধান সড়ক আর বাজার থেকে একটু ভিতরে। ব্যাচেলর তাই আশে পাশের সোসাইটি তে কেউ ভারা দেয়না। সবচেয়ে কাছের বাসাটার কাছে যেতেও ১৫ মিনিট সময় লাগে। তবে আমার বাসাটা খুব সুন্দর, পুরানো আমলের জমিদার বাড়ির মত, সামনে একটা পুকুর আছে। পূর্নিমাতে ঢের তৃপ্তি পাওয়া যায়৷ 
 
প্রকৃতির সৌন্দর্য! আহ সেকি অদ্ভুত দৃশ্য। তারপরে মানুষের একাকি জীবন একটু বিষন্ন বটে। আমার নাম ফরহাদ। একটা প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরি করি। পরিবার বলতে একাই। নিজের কাজ নিজে করেই দিন কাটাই। 

রান্না বান্না করে খেয়ে নিলাম। আজ খুব বৃষ্টি হচ্ছে। বাইরে প্রচন্ড বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম, কিছুদিন যাবত পিঠে অনেক বেথা করে। কেন করে জানিনা? এর আগেও একবার দেখিয়েছিলাম বাজারের ফার্মেসিতে, না কমার কারনে আজ শহরে দেখালাম। ব্যাথাটা আসলে তাদেরকে বুঝাতে পারিনা, কিন্তু তারা হয়ত বুঝে নেন, অথবা না বুঝেও বুঝার ভান করেন। ডাক্তার বলে কথা। 
 
যাই হোক বেস কিছুদিন ওষুধ খেলাম। দুই একদিন বেথাটা কমই লাগলো। কিন্তু আবার যেই লাউ সেই কদু। কি অসম্ভব জালারে! বুঝতেই পারছিনা। অফিসের কিছু কলিগের সাথে পরামর্শ করলাম। অনেকে অনেক কিছুই বললো কিন্তু তাও কিচ্ছু সমাধান হলোনা। 
 
ইদানিং আবার উলটা পালটা স্বপ্নে দেখি। অনেক ভয়ানক স্বপ্ন।
নিয়মিত ওষুধে যখন বেথা কমেনা, তখন সাজিদ সাহেবের কাছে আবার গেলাম। 

- স্যার বেথা তো কমার কোন জো নেই!দিন দিন বারছেই।
- ওষুধ খাও নাকি ঠিকঠাক?
- জ্বী খাই তো। ক্কিন্তু!
- আচ্ছা ওষুধ পালটে দিচ্ছি! বলেই তিনি লিখতে শুরু করলেন।
আমি আমার মনের কথা আর আটকে রাখতে পারলাম না।
- স্যার আমার মনে হয় সমস্যা অন্য কিছু!
- অন্য কিছু মানে?
- মানে স্যার আমি মনে হয় মানসিক ভাবে সুস্থ না!
- তাই নাকি?
- হ্যা!
- কেন এমন মনে হয় তোমার?
- স্যার আমি স্বপ্নে দেখি যে আমি বিয়ে করছি!
- ওহ! ভালই তো। একটা করে নিলেই পারো!
- না স্যার। আমি স্বপ্নে দেখি যে, আমি লাশ কে বিয়ে করছি!
- হ্যা! কি! ওওহ। মানে কতদিন দেখ এই স্বপ্ন?
- গত এক মাস ধরে প্রতি রাতেই দেখি স্যার।
কি যেন ভাবলেন স্যার। 
 
তারপর
কিছু ঘুমের ওষুধ লিখে দিলেন। ওষুধ নিয়ে বরাবরের মতই চলে আসলাম।
সেদিনও খাওয়া শেষে ঘুমোতে গেলাম। আষাঢ় মাস, প্রায় প্রতিদিন এ বৃষ্টি হয়। ভালো করে দরজা জানালা এটে ঘুমোতে গেলাম। 

মাঝ রাতে প্রচন্ড বিদ্যুৎ ঝলকানিতে ঘুম ভেংগে গেল। বাইরে অনেক জোরে জোরে বাতাস বইছে, দেখলাম আমার জানালাটাও বারি খাচ্ছে। আমি সব লাগিয়েছিলাম তাও কিভাবে খুলে গেল! বুঝলাম না। 
 
তরিঘড়ি করে জানালা লাগাতে গেলাম। লাগাতে গিয়ে হটাত চোখ পড়লো পুকুরের সামনে, কিছু একটা দাঁড়িয়ে, মানুষের মত মনে হলো, এখানে এমনেই কেউ থাকেনা ঝড়ের সময় কে বা আসবে। 
 
ভালো করে দেখার চেষ্টা করলাম। ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলাম তাই বেশি দেরি না করে জানালা লাগিয়ে শুয়ে পড়লাম। হটাত আমার মনে হচ্ছিল ঘরে কেউ আছে। ধীরে ধীরে এপাশ থেকে ওপাশ এ হয়ে শুলাম দেখার জন্যে। একেতো বিদুত নেই। ওমনি ঝরের রাত। মনের সন্দেহো দূর করানোর জন্যে টর্চ মারলাম। 
 
দরজার সামনে কিছুতো একটা আছে। আমার দরজা টা একটা গলির মত। গলির মাথায় দরজা। কেউ দারালে তার ছায়াও দেখা যায়না ঠিক মত। আমি বিছানা ছেড়ে উঠে দারালাম। দরজার গলিটার কাছে যেতেই টর্চ তাক করলাম দরজার দিকে। যা ছিল তা দেখে আমার হাত থেকে টর্চ পরে যায়। দেখলাম একটা মাঝ বয়সী নারী মাথার উপর থেকে রক্ত গড়িয়ে পরছে, গলার এক অংশ কেটে থেতলিয়ে দিয়েছে এমন। আর পুরো শরীর রক্তে লাল হয়ে আছে। আমার ভয়ে হাত পা কাপতে লাগলো, নারী টি অস্মভব ভয়ানক ভাবে হিংস্রের মত আওয়াজ করতে লাগলো। 
 
আমার তখন পুরো শরীর দর দরিয়ে ঘামছে। ধিরে ধিরে নিস্তেজ হতে লাগলাম। আমি সম্ভবত জ্ঞান হারালাম। সকালে দেখলাম বিছানায় শুয়ে আছি৷ স্বপ্নে দেখেছি হয়ত।ইদানিং বাজে স্বপ্ন প্রায় অভ্যাস হয়ে গেছে। তাই সকাল হতেই বেপার গুল ফিকে ফিকে লাগলো। উঠে নাস্তা করলাম। 
 
অফিসের জন্যে বের হচ্ছিলাম। দরজার আগে এক্টা ছোট টেবিল আছে আমার, সেটার নিচে আমি জুতো জোরা রাখি, জুতো নেয়ার সময় দেখলাম টর্চ টা পড়ে আছে এখানে। রাতের ঘটনা নিয়ে এখন একটু সিরিয়াস ভাবতে মনে হচ্ছে। সেদিনের মত কাজের জন্যে বের হয়ে গেলাম। 
 
কিন্তু সাড়াদিন ই টর্চের বেপারটা মাথায় ঘুর পাক খাচ্ছিলো। কিছুতেই স্বপনের সাথে বাস্তবের অসংগতি খুজে পাচ্ছিলাম না। রাতে বাসায় ফিরতেও ভয় করছিলো। ওইদিন এক কলিগের বাসায় ভাগ্যক্রমে দাওয়াত পেয়ে যাই৷ রাতটা ওখানেই থাকি৷ 
 
ইউরোপের বিরোধপূর্ণ আবখাজিয়ার একটি শহর এটি
 ইউরোপের বিরোধপূর্ণ আবখাজিয়ার একটি শহর এটি BongoCyber Blog

এটি সোভিয়েত আমলের গাছের দখলে থাকা ভূতুড়ে শহর
এটি সোভিয়েত আমলের গাছের দখলে থাকা ভূতুড়ে শহর BongoCyber Blog     

Post a Comment

0 Comments